হ্যান্ডস্‌ অন রিভিউঃ Symphony Xplorer W68

ভুমিকাঃ

স্মার্টফোনের জোয়ারে এখন মোটামুটি ভোক্তাকুল খানিকটা দিশেহারা। এত এত স্মার্টফোন, কোন রেখে কোনটা নিবে তার হদিশ করতে করতে মাথার চুল পাকার অবস্থা আর কি। আমাদের যখন অনেক অনেক অপশন থাকে ঠিক তখনি গোলটা বাধে, ঠিক কোনটা আমার জন্যে সব থেকে চমৎকার হবে! লোকাল দুটো ব্র্যান্ড সিম্ফনি আর ওয়াল্টন একের পর এক বেশ অনেক গুলো বাজেট ফোন নিয়ে আসল বাজারে। এর অনেক গুলোই অবশ্য ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারে নাই। তবে অনেক ফোনের ভীড়ে বোধ করি Symphony Xplorer W68 একটু ব্যতিক্রম; এটি একটি বাজেট ফোন, কিন্তু সমসাময়িক চল অনুযায়ী বাজেট ফোন হিসাবে তার মানট কিন্তু মোটেও খেলো বলা যাবে নাহ বরঞ্চ খানিকটা আশ্চর্যজনক ভাবেই চমৎকার। ক্রেতা আর সমালোচকদের জন্যে চমৎকার একটি টপিক এই সিম্ফনি এক্সপ্লোরার ডব্লিউ ৬৮। মুঠোফোন ডট কমে প্রতি ক্ষনে ফোনটি দেখতে অন্তত পক্ষে ৫-৭ জন থাকে। তাই আমরা হাজির হলাম ফোনটির আরো কিছু খুটি-নাটি নিয়ে আপনাদের সামনে।

 

বক্সের ভেতরে যা যা থাকছেঃ

একটি হ্যান্ডসেট, একটি চার্জার+মাইক্রো ইউএসবি, একজোড়া হেডফোন, একটি ব্যাটারী, ইউসার ম্যানুয়াল এবং একটি স্ক্রীনপেপার।

 

বিল্ড কোয়ালিটি ও ডিজাইনঃ

ফোনটি প্রথমেই যখন হাতে তালুতে নিয়ে দেখবেন তখনি আপনার ভাল লাগা শুরু হয়ে যাবে। ফোনটি ডিজাইন বর্তমান সময়ের গদ-বাধা ফোন গুলোর থেকে খানিকটা ভিন্ন। অনেকের মতে এটি অনেকটা HTC One এর সাথে সাদৃশ্য পূর্ন, হাস্যকর লাগলেও কথায় খানিকটা সত্যতা আছে। অনেক বড় নয় আবার একেবারে ছোটও নয়। 123.7 x 63.2 x 10.3 mm আকারের এই ফোনটি হাতে ধরে অনেক সাছন্দ্য অনুভব করা যায়। ফোনটির প্লাষ্টিক ফিনিশিংয়ের মানটা চমৎকার, কাজেই হাতে ধরে অনুভূতিটা ভাল বলা যায়। আর ওজনটি মাত্র ১১০ গ্রামের আশেপাশে, তাই আকার আর ওজন মিলিয়ে ব্যবহারে অনেক শান্তিদায়ক।

বর্তমান সময়ের বেশীর ভাগ ফোন গুলোর মত এটারও ডান পাশে রয়েছে পাওয়ার বাটন আর বাম পাশে রয়েছে ভলিউম-রকার। ফোনটির একটি সুবিধাজনক দিক হল এর চার্জিং পোর্টটি ফোনের উপরের দিকে, ফলে যারা ফোন-পাউচ্‌ ব্যবহার করবেন তারা পাউচে্‌র মধ্যে রেখেই চার্জ দিতে পারবেন। এতে করে আপনার ফোনটির স্ক্রাচ্‌ পড়ার সম্ভবনা কমে যাচ্ছে অনেকখানি। 

 

ডিসপ্লে, টাচ্ ও ইউজার ইন্টারফেসঃ

ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪ ইঞ্চি TFT ক্যাপাসিটিভ টাচ্‌-স্ক্রিন, যার রয়েছে WVGA (480 × 800) রেজ্যুলেশন আর প্রায় ২৩৪ পিক্সেল প্রতি ইঞ্চিতে (PPI)। ডিসপ্লে ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স বলা যায় “স্ট্যান্ডার্ড। সেই রকমেরও না আবার কোন ভাবেই “ভাল না এটা বলা যাবে নাহ, কাজেই মধ্যেমই সেরা। ডিসপ্লে ব্রাইটনেস নিজের মত করে সেট করে নিতে পারেন, কমিয়ে বাডিয়ে ইচ্ছে মত। ফুল ব্রাইটনেসে স্বাভাবিক ভাবেই অনেক চমৎকার লাগে কিন্তু এতে করে ব্যাটারী চার্জ বেশ তাড়াতাড়ি ড্রেইন হয়ে যাবে তাই, মধ্যম থেকে একটু কম রাখাই ভাল।

দিনের আলোতে বাইরে থাকলে, ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়িয়ে রাখতে হবে; নাহলে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় নাহ। তবে এই ফোনটিতে লাইট সেন্সর না থাকাতে “Auto” ব্রাইটনেস অপশনটি সেটিংসে নাই।

এর ভিউয়িং আংগেল ১৮০ ডিগ্রী না হলেও অনেক ভাল। আপনি স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি তীর্যক ভাবে তাকালেও ডিসপ্লে ভালই পরিষ্কার দেখতে পারবেন।

আর ডিসপ্লে প্রটেকশন জন্যে আপনাকে প্রথমেই বাড়তি খরচ করতে হবে নাহ। কেনার সময় যে প্রটেকটরটি লাগানো থাকে তার মান বেশ ভালই। কাজেই বেশি বাড়োয়াড়ি ব্যবহার না করলে এই দিয়ে অনায়সে বেশ অনেকদিন চালিয়ে নিতে পারবেন।

সিম্ফনী এক্সপ্লোরার ডব্লিউ ৬৮ এর টাচ্‌ রেসপন্স এক কথায় চমৎকার। কোন ল্যাগিং নাই, স্মুথলি কাজ চলে যায়। ফোনটিতে রয়েছে মাল্টি টাচ্‌, একের অধিক ৩ আংগুল পর্যন্ত চমৎকার পারফর্মেন্স দেয়। টাইপিং বা ওয়েব ব্রাউজের সময়ে বিষয়টি সবথেকে ভাল বুঝতে পারবেন। তবে টাইপিংয়ের সময়ে ফোন খাড়া ভাবে না ধরে আড়াআড়ি ধরলেই পারফর্মেন্স ভাল পাবেন; কেননা খাড়া ভাবে ধরলে যাদের হাতের আংগুল একটু মোটা তাদের নির্দিষ্ট অক্ষরে স্পর্শ করতে একটু বেগ পেতে হবে।


Symphony_w68_interface

ফোনের UI হিসাবে জেলী বিন ৪.২.২ স্টক ইন্টারফেসই ব্যবহার করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিছন্ন জেলী বিন ইউজার ইন্টারফেস, আমার কাছে মডিফিকেশন থেকে এরকম ইন্টারফেস বেশি ভাল লাগে। নিখাদ জেলীবিন অপারেটিংযের স্বাদ পাওয়া যায়।

 

 

CPU, GPU, Processor ও অন্যান্যঃ

Symphony Xplorer W68 এ ব্যবহার করা হয়েছে MTK চিপসেট নির্ভর ডুয়েল কোর ARMv7 Neon ১.২ গিগা হার্জ প্রসেসর, আর এর সাথে আছে Mali-400 জিপিইউ। র‍্যাম আছে ৫১২ মেগাবাইট, যার মধ্যে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন ৪৬৮ মেগাবাইট। অন্যদিকে রম আছে মোট ৪জিবি যার মধ্যে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন প্রায় ২ জিবি’র মতন।

W68 এর সব কিছুর কম্বিনেশন বেশ ভালভাবেই হয়েছে। হাই পারফর্মেন্স দেবার মতন স্পেসিফিকেশন এই ফোনের নাই; তবে বলা যায়, যা আছে তার একদম সিঙ্ক্রোনাইজড্‌ পারফর্মেন্স দিতে পারছে এই র‍্যাম, রম, CPU, Processor আর GPU।

এর আপ্স্‌ ইন্সটল বা খোলা ইত্যাদি বেশ দ্রুততার সাথে হয়। ইউজার ইন্টারফেসে, আমি অন্তত কোন ল্যাগিং পাই নাই, বেশ সুন্দর স্মুথলি চলে।

অনেক হাই-এন্ড সেট যেখানে গেম নিয়ে নানা রকম মন-বেদনা দেয় সেখানে W68 দিয়ে বলা যায় এই কম্বিনেশনে “হেচকি ছাড়াই মোটামুটি জনপ্রিয় গেম গুলো (HD গেম সহ) চালিয়ে নিতে পারছে। Asphalt 8, NFS Most Wanted, Temple run (সব গুলো ভার্সন), Subway surf, Dr. Driving, Highway Rider সহ প্রভৃতি গেম গুলো বেশ সাছন্দ্যের সাথে চলেছে।

Symphony_w68_games


Symphony_w68_games


হ্যান্ডসেটটিতে মাল্টি টাস্কিং করা গেছে মোটামুটি সাছন্দ্যের সাথেই, একই সাথে কয়েকটি আপ্স্‌ চালু রেখে কাজ করা যাচ্ছে অনায়সে, সেই সাথে সাথে একেবারে নিমিষেই মিনিমাইজ থেকে আবার চালু করা অথবা আবার মিনিমাইজ করা; এগুলো কোন রকম হেচকি ছাড়াই হয়েছে। কাজেই বলা যায় খুব বেশি আপ্স্‌ চালু না থাকলে ল্যাগ করা বা হ্যাং করার সম্ভবনা নাই।

Symphony_w68_multy_tasking

Symphony Xplorer W68 ফোন হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হল “KONKA Electronics, China”। আপনি ফোনটিতে ওয়াই-ফাই রাউটার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে, রাউটারে কানেক্টেড ডিভাইস হার্ডওয়্যার এর আইডেন্টিটিতে এ তথ্য দেখতে পাবেন।

 

ইন্টারনেট ব্রাউজিংঃ

ইন্টারনেট ব্রাউজিংকে এক’বারেই বলা যায় সন্তোষজনক। নেটওয়ার্ক স্পীড দিতে পারলে ফোনটি তা নিতেও পারে অর্থ্যাৎ আপনার জন্যে টেলিকম নেটওয়ার্ক যে স্পীড দিবে তার পুরোটাই এটি নিতে পারবে। 2G এবং 3G দুটোতে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং আরামদায়ক ব্যবহারের জন্যে চমৎকার ভাবে উতরে গেছে। ব্রাউজ করুন, মিনিমাইজ করুন আবার সুইচ করুন, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই। আপনি পিডিএফ ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন, এতে ফ্যাক্টরী সেটিংসেই অ্যাডোব পিডিএফ ইন্সটল করা আছে।


Symphony_w68_internet_browsing

 

ক্যামেরা ও সেন্সরঃ

যারা ফোন ক্যামেরার রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করে তাদের জন্যে এটি মন-বেদনার কারন হয়ে যাবে। যদিও মজার বিষয় হল অফিসিয়াল স্পেসিফিকেশনে দেওয়া আছে এতে আছে ৫ মেগা পিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা কিন্তু আমাদের টেষ্টে বের হয়ে এসেছে এটিতে আসলে আছে ৮ মেগা পিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা। আর ফ্রন্ট ক্যামেরাতে অফিসিয়ালি লিখা আছে ০.৩ মেগা পিক্সেল কিন্তু সেটি হল ১.৩ মেগা পিক্সেল। তো এই তথ্য আপনাকে আনন্দ দিলেও জেনে রাখুন ক্যামেরা পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নাহ। ক্যামেরা সেন্সর উন্নত না বিধায় এর ফটোগ্রাফি আশানুরুপ হয় নাহ আর অল্প আলোতেও ছবি তোলার জন্যে এর ক্যামেরা মোটেও আদর্শ নয়। এর ফ্ল্যাশ লাইটের আলো যথেষ্ট শক্তিশালী নয় বিধায় এই অবস্থা। তবে নরমাল দিনের আলোতে চমৎকার ছবি উঠে এবং সেটি নিয়ে আপনার কোন রকম টেনশন না করলেও চলবে।


Symphony_w68_camera


ফোনের ক্যামেরা বিষয়ক আরো কয়েকটি মজার তথ্য দেই; এতে আছে HDR, Panorama আর Smile Detection যদিও তা অফিসিয়াল স্পেসিফিকেশনে দেওয়া নাই।

ফোনটিতে অনেক প্রয়োজনীয় সেন্সর অনুপস্থিত। আপনি এতে শুধুমাত্র এক্সিলেরোমিটার (3D) এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর পাচ্ছেন। নিচের ছবি থেকেই দেখুন কি সেন্সর আছে আর কি সেন্সর নাই।


Symphony_w68_sensors

 

অডিও এবং ভিডিও কোয়ালিটিঃ

ফোনের ডিফল্ট সাউন্ড কোয়ালিটি চলনসই। হেডফোনের কোয়ালিটি ভাল মানের তা বলার উপায় নাই। রিংটোন প্রয়োজনীয় মাত্রায় বাজলেও, হেডফোন ছাড়া স্পীকারের সাউন্ড তেমন একটা লাউড বলা যাবে নাহ, তবে কাজ চলে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি যদি মিউজিক লাভার হয়ে থাকেন, তাহলে হেডফোন বদলিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারেন অথবা এর ৩.৫ মিলি জ্যাকের সাহায্যে আপনার সাউন্ড সিস্টেম ক্যানেক্ট করে মিউজিক শুনতে পারেন, ভাল ফল পাবেন।


Symphony_w68_audio_player


এ ফোন দিয়ে আপনি HD ভিডিও চালাতে পারবেন এবং পারফর্মেন্স চমৎকার, নিঃসন্দেহে উপভোগ করবেন।


Symphony_w68_video_property

 

ব্যাটারীঃ

এতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ১৫০০ এমএএইচ লিথিয়ায়ম আয়ন ব্যাটারী। এর ব্যাটারী নিয়ে অনেকের অনেক অভিযোগ শোনা যায়; তবে এটুকু বলা যায় ফোনের ডিসপ্লের সাথে মিলিয়ে একেবারে খারাপ পারফর্মেন্স, তা বলা যাবে নাহ। ব্যাটারী চার্জ হতে ২-২.৫ ঘণ্টা সময় নেয়। একটানা ২.৫-৩ ঘণ্টা গেমস্‌ খেলে আরো ১.৫-২ ঘণ্টা ব্রাউজ করতে পারবেন।  তবে শুধু গান শুনলে নিশ্চিন্তে সারাদিন পারা করে দেওয়া যাবে। নরমাল ব্যবহারে, যেমনঃ সারাদিনের প্রয়োজনীয় কথা (স্বাভাবিক মাত্রার), মেইল চেক, ফেসবুকে একটু-আধটু ঢুঁমারা ইত্যাদি কাজ করলে, বলা যায় সকালে ফুল চার্জ দিয়ে বের হলে রাত ৮.৩০-১০টার দিকে লো-ব্যাটারী দেখতে পারেন। তবে আপনি যদি ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি বন্ধ রেখে এমনি সাধারণ ব্যবহার করেন তবে অনায়সে ১.৫ দিনের বেশী চার্জ থাকবে।

তবে প্রাথমিক ভাবে নতুন ফোন কেনার পরপর চার্জ একটু বেশি তাড়াতাড়ি চলে যায়, সাধারনত দেখা যায় বিভিন্ন বিষয় চেক্‌ করা সহ নতুন ফোন পাবার আনন্দে নিজের অজান্তেই ব্যবহারকারীরা স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি ব্যবহার করেন; সময়ের সাথে সাথে অবশ্য ব্যবহারে একটি ছন্দ চলে আসে যাকিনা একই রকমের ব্যাটারী পারফর্মেন্সে দেয়।

তবে বলতে হবে ব্যাটারী আরো একটু পাওয়ারফুল দিলে অবশ্যই ভাল হতো। ব্যাটারী “চার্জ পারফর্মেন্সের নিয়ামক হিসাবে আরো কিছু বিষয়ের ভূমিকা রয়েছে, আবহাওয়া, নেটওয়ার্ক কন্ডিশন ইত্যাদি। গরম আবহাওয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাটারী তাড়াতাড়ি নিঃশেষ হয়, অন্যদিকে নেটওয়ার্ক দূর্বল হলে ব্রাউজিংসহ সব সময় নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সাথে সংযোগ রাখতে ফোনের বাড়তি কাজ করতে হয় যার ফলে ব্যাটারী দ্রুত নিঃশেষ হয়।

ফোনটি চার্জে দিলে পিছনে উপরের বাম পাশ মাঝে মাঝে গরম হয় এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে পিছন গরম হতে দেখা গেছে। তবে আমাদের টেষ্টে পিছনের “গরম হওয়ার ইস্যু বলতে হবে একদমই নগন্য ছিল।

 

বেঞ্চমার্ক টেষ্ট রেজাল্টঃ

রেজাল্ট নিজেরাই দেখুন, কেমন করেছে সিম্ফনি এক্সপ্লোরার ডব্লিউ ৬৮


Symphony_w68_benchmark_test_result

 

 

পরিশেষঃ

 

এই ফোনটি আমি বলব একটি আদর্শ বাজেট ফোন; দাম এবং ফিচারস্‌ মিলিয়ে এই শ্রেনীতে নিঃসন্দেহে সবার থেকে এগিয়ে। কিছু ঘাটতি আছে আবার প্রাপ্তির পাল্লাও বেশ ভারী। কাজেই এই বাজেটে ফোন কিনতে চাইলে বোধ করি আপনার ইতিমধ্যে বোঝা হয়ে গেছে আপনার কি করা উচিত।