Facebook is under pressure for violating German speech laws

ফেডারেল কার্টেল অফিস নামে জার্মানির এক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়াই তথ্য সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল কার্টেল অফিস ফেসবুককে ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কিছু তথ্য সংগ্রহ বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পরিকল্পনা করছে। খবর রয়টার্স।
জার্মানির ফেডারেল কার্টেল অফিস মূলত দেশটিতে প্রতিযোগিতামূলক আইন ও ভোক্তা স্বার্থ তদারকির কাজ করে থাকে। ২০১৫ সাল থেকে সংস্থাটি ফেসবুকের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে আসছে। ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস, অপব্যবহার ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারসহ ফেসবুক ঘিরে নানা অভিযোগের মধ্যে এ তদন্ত সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জার্মান সংবাদপত্রটি জানায়, ফেডারেল কার্টেল অফিস ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীর অজ্ঞাতে বা সম্মতি ছাড়াই তথ্য সংগ্রহে বাজারে নিজের একাধিপত্য কাজে লাগানোর প্রমাণ পেয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মতো নিজস্ব সেবার পাশাপাশি থার্ড পার্টি অ্যাপ, গেম ও ওয়েবসাইটের কাছ থেকে নিজের নয় এমন ব্যবহারকারীরও তথ্য সংগ্রহ করেছে। মূলত এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে ফেডারেল কার্টেল অফিস।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুককে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সে সম্পর্কে জানাবে। তবে কী আদেশ দেবে, তা জানা যায়নি। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তাত্ক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বদলে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারে।
এ ব্যাপারে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, তার প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির সঙ্গে একমত নয় এবং নিজেদের এ অবস্থানে অটুট থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে বেশ বিপাকে আছে ফেসবুক। এর শুরুটা হয়েছিল ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি দিয়ে। সর্বশেষ ফেসবুকের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ ওঠে।



